তবুও আশায় বাঁচি!
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ। বলা চলে পলকহীন শূন্য দৃষ্টিতে। বারান্দার রেলিংয়ে আছড়ে পড়ছে দরিদ্র মানুষের ঘোরাফেরার ছায়া। আশা হয়তো করে, যদি কিছু পাওয়া যায়। যাত্রীর আশায় রিকশাওয়ালাদের অবিরত চক্কর দেয়া। সবজি ভ্যানের ঘোরাফেরা। রাস্তায় দেখা মেলে খানিক বিরতিতে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি মটরযান। জরুরি প্রয়োজনে হয়তো বের হয়েছে। ঘরে যে অনেকের অভুক্ত প্রিয়জন। শারীরিক বা সামাজিক দূরত্ব কোনোটাই যে মানা হচ্ছে না তার। প্রিয়জনের ক্ষুধার যন্ত্রণা যে অনেক কষ্টের, তা সে টের পায় এখন হাড়ে হাড়ে। যে করোনা জীবন নিয়ে নেয়, সেই করোনার কোলে নিত্যবসবাস এ দরিদ্র মানুষগুলোর; সাথে আমি-তুমি-সবাই। এ কেমন বাস্তবতা এ জীবন ঘিরে!
ঢাকায় যেখানে থাকি, তার অতি নিকটে গণভবন। এর চারপাশে এপ্রিল-মে-জুন মাসে কৃষ্ণচুড়া, জারুল, রাধাচুড়া, সোনালুসহ হরেক রকম ফুলের এক বাহা্রি বর্ণিল আবহ সৃষ্টি হয় এই সময়টাতে। করোনার বৈরী সময়েও এর ব্যতিক্রম করেনি প্রকৃতি, বরং এবার তার সৌন্দর্য যেন আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। রুক্ষ নাগরিক জীবনের এ এক অন্যরকম ভালো লাগা। ফি বছর প্রতি সকালে সেই অনুভূতি উপভোগ করি, চন্দ্রিমা উদ্যানে হেঁটে বেড়াই। কিন্তু এবার তা হয়নি। শুধু দুর থেকে দেখছি একাকী দাঁড়িয়ে আছে একটি কৃষ্ণচুড়া গাছ। এবার কাছে গিয়ে অবলোকন করতে পারছি না অনুপম প্রিয়তার লোকানো আভা। এ কি প্রকৃতির অভিমান নাকি প্রতিশোধ আমাদের এই বৃত্তাবদ্ধ করোনাকালীন জীবন? অনুকূল সময়ে তার কাছে না যাওয়ার, তার ব্যথা না বুঝার!
অধিকাংশ ফুল তাদের ঝরে গিয়েছে। কচি সবুজ পাতার ফাঁকে কৃষ্ণচুড়ার কয়েক গুচ্ছ আগুন লাল ফুল। এ যেন প্রকৃতি আপন খেয়ালে আঁকা বাংলাদেশের অনেকগুলো মিনি পতাকা। এ যেন করোনাকালে প্রকট হতাশার মধ্যে আশা জাগিয়ে রাখার সমদৃশ্য আমার কাছে আমার। কবির ভাষায় খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে, নির্জন প্রান্তরের একাকী বৃক্ষ, তুমি কার অপেক্ষায় আছো। ১৭ মিলিয়ন জনবসতির এ শহর কি করে এত নির্জন হয়ে গেল, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। খালি চোখে দেখা যায় না এমন একটি ভাইরাস কি করে নিস্তব্দ করে দিচ্ছে সারা বিশ্ব, লাখো প্রাণ। ভাবতে অবাক লাগে।
জনারণ্যেও আমরা একা, করোনাকালে শুধুই আমাদের অপেক্ষা। গত তিন মাস যাবত একপ্রকার গৃহবন্দী, সময়টা বড় দীর্ঘ মনে হয়। কত দম্ভ নিয়ে চলাফেরা করি, কি ভারিক্কি আমাদের চালচলন। একবার কি ভেবেছিলাম, কি অসহায় মানবশক্তি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এ করোনা ভাইরাসের কাছে। বলতে ইচ্ছে করে, নতি স্বীকার করো এ মহাবিশ্বের শ্রেষ্ট জীবের দাবিদার, পিছন ফিরে তাকাও, জীবনের মানে খোঁজো। আত্মমূল্যায়নের বেলা যে বয়ে যায়, নবচিন্তায় নতুন পৃথিবী গড়ার এই তো সোনালি সময়।
দুজন কন্যাসন্তানসহ চারজনের আমাদের পরিবার। পড়তে আমাদের সবার ভালো লাগে। সে প্রস্তুতিও আমাদের সব সময় থাকে। দুটি দৈনিক পত্রিকা পড়া, টেলিভিশনের খবর দেখা, দেশ-বিদেশের সহকর্মীদের সাথে অনলাইনে বৈঠক করা, তাঁদের সাথে কিছু রির্পোট লেনদেন করা, সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে পরিচিত জনের খবর নেয়া, পারিবারিক লাইব্রেরি থেকে বই পড়া, নেটফ্লিস্কে বা টেলিভিশনে সিনেমা দেখা, ইন্টারনেটে ডুব দিয়ে কিছু নতুন প্রযুক্তি শেখা বা নতুন বিষয় সম্পর্কে জানা, মে ৩১ তারিখ থেকে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে অফিস করা- করোনাকালে এ রুটিনেই দিনের অনেকটা সময় কাটে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি আমাদের মা অসীমের পথে আমাদের ছেড়ে গিয়েছেন। মা যে বিছানায় শেষ কয়েকটা দিন কাটিয়েছেন, সেখানে খানিকটা সময় বসে থাকি, মাকে খোঁজার চেষ্টা করি। এত দীর্ঘ ছুটি হবে তা আগাম চিন্তা করতে পারিনি, ফলে প্রথম দিকে ঘরে বসে কাজ করার প্রস্তুতিও কিছুটা কম ছিল। ফেসবুক দেখা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছি, বড্ড বেশি উন্টোপাল্টা সংবাদ- এক ধরনের চাপ অনুভব করি, মনে অশান্তি সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে লকডাউনের পুরোটা সময় প্রায় সফল।
স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি একসঙ্গে হওয়ায় নীতিনির্ধারকদের খুঁজতে হচ্ছে ভারসাম্যের জায়গা। ফলে সবার মন রক্ষা করা হচ্ছে কঠিন। দেখছি, মানুষের কাজ নেই, আয় নেই, ঘরে প্রয়োজনীয় খাবার নেই। সরকার, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান সকলে চেষ্টা করছে। কিছু জনগণের অবিবেচনা-প্রসূত ব্যবহার, জীবন-মরণের এ সন্ধিক্ষণে রিলিফ চুরির ঘটনা- আমাদের ব্যথিত করে, লজ্জিত করে। জটিল পরিস্থিতিকে অনেকেই অহেতুক আরও জটিল করছে।
অনেকেই বলছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাবে, প্রবৃদ্ধি কম হবে, দরিদ্রের সংখ্যা বাড়বে। কেউ কেউ বলছে, ১৯৩০-এর ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্ধাকেও ছাড়িয়ে যাবে, দীর্ঘস্থায়ী হবে। বৈশ্বিক ব্যাপ্তির ফলে বিভিন্ন দেশ বা ব্যক্তির কাছ থেকে সহযোগিতা কমে আসবে। ফলে দেশের অ্যভন্তরীণ ও আর্ন্তজাতিকভাবে আঞ্চলিক বৈষম্য বাড়বে। পরিস্থিতি হয়তো আরও জটিল হবে, ব্যবসায়িক স্বার্থ ও রাজনৈতিক অর্থনীতির সংযুক্ততার ফলে। বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশে এটি আরও জটিল। সম্প্রতি সাইক্লোন আম্ফানের আস্ফালন আমরা দেখেছি। বাংলাদেশের উত্তরের অনেক জেলায় বন্যা হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতার ফলে দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ার খবরের বিষয়টি নিজস্ব অর্জনের জায়গা থেকে বেদনাদায়ক, দুঃখের। একথা ভেবে মাঝে মাঝে মনটা ভীষণ বিষন্ন হয়ে পড়ে। বহুজনের চেষ্টায় এতকালের এত কষ্টের অর্জন এতো তাড়াতাড়ি কি শেষ হয়ে যাবে?
হতাশ হবার অনেক কারণ থাকা সত্ত্বেও মানুষ আশা নিয়ে বেঁচে থাকে। আমিও আশায় বুক বাঁধি। আমার ভাবতে ভালো লাগে, করোনা মোকাবেলায় দেশে দেশে অনেক মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি হচ্ছে, পরিবেশ ও প্রতিবেশ উন্নত হচ্ছে, করোনাকালে স্বাস্থ্য, প্রশাসন, নিরাপত্তাসহ অন্যান্য জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মীদের আত্মত্যাগের নতুন নতুন ইতিহাস তৈরি হচ্ছে, করোনা শনাক্ত করার প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে, করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা উন্নত হচ্ছে, করোনা সংক্রমণে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে, করোনার বিরুদ্ধে মানুষের হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে, করোনার সাথে মানুষের সহাবস্থানের সক্ষমতা বাড়ছে।
টেলিনরের গবেষণায় দেখা যায়, কোভিড-১৯ হতাশার পাশাপাশি ভূমিকা রাখবে আমাদের নতুন বিশ্ব গঠনে। করোনা-পরবর্তী বিশ্ব কেমন হবে এর প্রতিউত্তরে গবেষণায় তিনটি পূর্বাভাস উঠে এসেছে যা নতুন আকার দেবে আমাদের করোনা-পরবর্তী বিশ্বকে। পূর্বাভাসগুলো হলো- এক. নতুন অবকাঠামো নতুনভাবে কাজের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে, বিশেষত যারা এতদিন অফিসে বসে কাজ করতেন, এই বৈশ্বিক মহামারির কারণে তারা বাসা থেকেই কাজ করছেন। এই বিষয়টি মানুষকে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। বিষয়টির সঙ্গে অনেকেই মানিয়ে নিতে শুরু করেছেন। বাড়ি কিংবা নিরপেক্ষ কর্মপরিবেশে থেকে কাজ করার ক্ষেত্রে কর্মীদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার আরো বেশি ডিজিটাল এবং যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে শহরগুলোকে কীভাবে সংগঠিত করা যায়, তা নতুন করে চিন্তার করার সুযোগ সৃষ্টি করবে। দুই. নিয়োগ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ। এ প্রক্রিয়ায় নিয়োগকর্তা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে অ্যালগরিদম স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই-বাছাই করে অনুপযুক্ত প্রার্থীকে বাদ দেবে এবং উপযুক্ত প্রার্থীকে নিয়োগকর্তার সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং তারা কীভাবে নিজেদের উপযুক্ত করে তুলতে পারবে এ বিষয়ের ধারণা তরুণ ও কর্মহীনদের নিয়োগকর্তাদের জন্য আকর্ষণীয় প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করবে; এবং তিন. সহায়তা করবে মানুষের গতিবিধির তথ্য, যেখানে সংক্রামক রোগ প্রসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে ডাটা ক্রমান্বয়েই গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠছে এবং আগামীতে আরও জোরেশোরে উঠবে। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের প্রকাশিত নিবন্ধে নরওয়ে ও ডেনমার্কে মহামারির বিস্তার রোধে যে মডেল প্রয়োগ করা হয়েছে তা হতে পারে বিশ্বব্যাপী আরও বিস্তৃত ও সমাদৃত। এ গবেষণা ধরে এগিয়ে গেলে আগামী দিনে স্মার্ট সিটি পরিকল্পনা, পরিবেশগত বিশ্লেষণে সহায়তাসহ শিল্প খাত যেমন ভ্রমণ খাতের প্রবৃদ্ধিতেও সহায়তা করতে পারে। এ নিয়ে গর্ম আন্দ্রিয়াস গিরননেভেত বলেন, ‘কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি আমাদের সবাইকে প্রচলিত ধারণার বাইরে ভাবতে সহায়তা করছে। যেহেতু আমরা করোনাভাইরাস পরবর্তী ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তাই এখনই উযুক্ত সময় আগামী দিনে কী বন্ধ করা উচিত, কী শুরু করা উচিত এবং কোন বিষয়গুলো ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন।
দৃঢ়ভাবে আশা করি, ইতিহাসের খেরোখাতায় করোনার অবস্থান হবে কম আলোচিত একটি বিষয়। তবে কিছু নতুন পথের রেখা দেখিয়ে দিয়ে যেতে পারে করোনা। যা হবে নতুন বাধা অতিক্রম করে মানবসভ্যতা এগিয়ে নেয়ার আলোকবর্তিকা।
ড. এ কে এম নুরুজ্জামান |
dhakatimes24.com
প্রকাশিত : ০৩ জুলাই ২০২০, ০৮:১৫
লেখকঃ উন্নয়ন সংগঠক, সমাজকর্মী ও মহাব্যবস্থাপক, পিকেএসএফ।
It can be accessed in the following
link
স্যার, আপনার লেখাটা দারুণভাবে মনে ধরেছে। অনেকের নতুন ভাবনার খোরাক জোগাবে বলে আমি আশাকরি। বিশেষ করে ঘরে বসে আয়ের পথে চলা। এখন অনেকেই উদ্যোক্তা হয়েছেন "ও-ডেস্কের" মত ওয়েব সাইটে কাজ করে। কোভিড-১৯ সময়ের পরে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে ভেবে থাকি, তাহলে ভুল হবে বলে মনে হয়না। যদি বলি, "যারা এখন কাজ হারিয়েছেন বা গ্রামে ফিরে গেছেন তারা সেখানেই ভাল থাকবেন যদি নিজ নিজ স্থান থেকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন", তাহলেও মনেহয় ভুল হবেনা। সরকারি-বেসরকারি অফিস গুলোর দিকে ছুটে চলা এক রাশ মানুষ ঘড়ির কাঁটার ৯টা-৫টা মিলিয়ে চলাকে এক সময় হয়তবা ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে। অফিস সময় বলে আলাদা কিছু থ্যাকবে না, যানজটের মুখে পড়বে চুনকালি, ছুটে চলা যানবাহনে দুর্ঘটনাও কমে যাবে। গ্রামের আলো-বাতাসেও থাকবে ডলার-পাউন্ডের খুশবু। রাজশাহীর ফজলি আম, দিনাজপুরের লিচু, বরিশালের ইলিশ, চুয়াডাঙ্গার ব্লাক-বেঙ্গল হয়তঃ উৎপাদনের স্থান থেকেই সংরক্ষণ (যেমন ড্রাই-ফ্রুট) করা যাবে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে সরাসরি চলে যাবে ভিন্ন কোনও দেশে। সারা বছর মানুষের হাতে থাকবে নানা-মুখী কাজ (শুধু চাকুরী নয়)। ঢাকায় রাস্তায় বেকার-যুবকেরা হতাশা নিয়ে ঘুরে বেড়াবে না। ফলে রাজধানী-কেন্দ্রিক চলার প্রত্যাশা বা প্রবণতা হ্রাস পাবে।
ReplyDeleteঅনেকের মতে যে অনাগত ও ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্ধাকে ১৯৩০ সালের পৃরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে যাবে ও দীর্ঘস্থায়ী হবে আর্থিক মন্দা। আমি তাদের কথায় একমত না। আমি মনেকরি প্রকৃতি মানুষকে বিকল্প ভাবনার সুযোগ দিয়েছে যুগে যুগে। আজ সাইক্লোন, খরা, সুনামি বাংলাদেশের মানুষ-কে বার বার আঘাত করেছে ঠিকই, ঘুরে দাঁড়াতেও শিখিয়েছে দারুণভাবে। আমরা টিকে থাকার জাতী। তাই সামনের দিনগুলো আমাদের। তবে আলোর দিশারী প্রয়োজন। ২৪ ঘনটা সময়টাকে ভাগ করে প্রতিটি মিনিট কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনার সময় এসেছে, তাই ভাল পরিকল্পনাকারী প্রয়োজন। গঠন-মূলক টক-শো প্রয়োজন। হলুদ খবর প্রচার বন্ধ-করা প্রয়োজন। মানুষের নিউরনে সত্য, সঠিক ও ইতিবাচক অনুরণনের প্রয়োজন। প্রয়োজন ভাল শিক্ষকের, ভাল নেতার ও ভালো অভিভাবকের।
ধন্যবাদ স্যার, এমন লেখা আরও চাই।
Thanks Shahin for your comments.
Delete