Posts

পরিবেশ

    কোথা রে তরুর ছায়া, বনের শ্যামল স্নেহ! তট-তরু কোলে কোলে সারাদিন কল রোলে স্রোতস্বিনী যায় চলে সুদূরে সাধের গেহ; কোথা রে তরুর ছায়া, বনের শ্যামল স্নেহ! কোথা রে সুনীল দিশে বনাস্ত রয়েছে মিশে, অনন্তের অনিমিষে নয়ন নিমেষ-হারা! বনের ছায়া, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।

আব্বা-আম্মা

আমাদের আব্বা-আম্মা বেঁচে নেই। আজ বাবার ২৩-তম মৃত্যুবার্ষিকী, গতকাল ছিলো মা-র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। আমাদের মা, ২ ফেব্রেুয়ারি, ২০২০ সালে ইহলোক ত্যাগ করেন। আর আমাদের বাবা, ডা. মো: ইয়াকুব আলী, না ফেরার দেশে চলে যান ৩ ফেব্রেুয়ারি, ২০০০ সালে। আজ মা-বাবা আমাদের মাঝে নেই। এ জীবনে আমাদের ডাকে তাঁরা আর কোনদিন সাঁড়া দেবেন না। তবুও বলি, আব্বা-আম্মা, আপনারা আমাদের জীবনে রয়েছেন প্রতিদিন, আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমাদের ভুলক্রটি ক্ষমা করে দিবেন। মা-বাবা বিহীন এ জীবন অতি কষ্ঠের, অব্যক্ত বেদনায় ভরা। কত স্মৃতি তাঁদের সাথে। একটু আগে টেলিভিশনে জাতীয়তাবাদের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আমার মা প্রায়ই এ বিষয়ে একটি উদাহরণ ব্যবহার করতেন। তিনি বলতেন, তার শৈশবকালে যখন ভারত বর্ ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল তখন তারা রানী ভিক্টোরিয়ার গুণগান গেয়ে স্কুল শুরু করতেন। তার যখন যৌবনকাল তখন ভারত বর্ষ দুভাগ হয়েছে, একাংশ ভারত অন্য অংশ পাকিস্তান। বর্তমান বাংলাদেশ তখন পূর্ব পাকিস্তান। তখন তিনি যেকোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজনে পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত শুনতেন। আর শেষ বয়সে বাংলাদেশ ছিল তাঁর মনে। প্রায়শ প্রশ্ন করতেন, কোন জাতীয়তাবাদের ধারক তিনি। What is the

আবজাদ স্যার

  এ দুজন শিক্ষকের সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি ( ১৯৮৯ - ১৯৯৪ ) । ব্যাক্তিগত দু ‘ টি স্মৃতির বিষয়ে কিছু বলতে চাই। আবজাদ স্যারের ( জনাব আবজাদ হোসেন চৌধুরী ) প্রতি আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে আমি যখন ১৯৮৯ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যাই।   স্যার তখন ভূগোল বিভাগের চেয়ারম্যান। আমরা যারা মেধাতালিকায় শেষ দিকে ছিলাম তাদের একদিনে সবাইকে ডাকা হতো। যেদিন আমাদেরকে ডাকা হল সেদিন আমরা অনেকেই চেয়ারম্যান স্যারের রুমের ( এখন যেটি জাবি টিএসসি ) সামনে অপেক্ষা করছিলাম । কখন আমাদের ডাক পড়বে আমরা কেউ জানি না। সেই সময় যদি কোনো ছাত্র / ছাত্রী উপস্থিত না থাকতো তাহলে তার ভর্তি হওয়ার আর কোন সুযোগ থাকত না। আমি লক্ষ্য করলাম কিছু সিনিয়র ছাত্র আমাদেরকে চা খাওয়ানোর কথা বলে ডেইরি ফার্ম গেইটে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে , কেউ আবার ক্যাফেটেরিয়ায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে - কিন্তু আমরা তাদেঁর উদ্দেশ্য বুঝতে পারছিলাম না। কী ভেবে আবজাদ স্যার কক্ষ থেকে বের হয়ে আসলেন। আমাদে

অভিনন্দন, জনাব আবদুল বাকী, বাংলাদেশ সরকারের সচিব হিসাবে পদোন্নতি

  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৩-তম ব্যাচের ছাত্র জনাব আবদুল বাকী, বাংলাদেশ সরকারের সচিব হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জনাব বাকী  পেশাগত জীবনে অত্যন্ত মেধাবী, সৎ, দক্ষ,  আর সজ্জন ব্যক্তিত্বের অধিকারী । তিনি সর্বদা সকল ধরনের সহায়তা প্রদানে সচেষ্ট থাকেন। গত ২ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে স্যারের সাথে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিসহ একটি ফলপ্রসূ মিটিং করেছি। আমরা তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং তাঁর পেশাগত আরও উন্নতি কামনা করছি।  

তদবিরের সংস্কৃতি

তদবিরের সংস্কৃতি প্রায়ই এক ধরনের অনুরোধ আসে চাকরিপ্রার্থীদের অথবা তাঁদের অভিভাবকদের নিকট হতে চাকরি দেয়ার জন্য। আমি উত্তরে সবসময় বলি, কোন বিজ্ঞপ্তি হলে আপনাদেরকে জানাবো। কিন্তু তাঁদের অনেকেরই প্রত্যাশা, একটি বায়োডাটা পাঠানো হয়েছে, এখন তুমি নিয়োগপত্র পাঠাও। আমি এটিও জানি, আমাদের দেশে অনুরোধ, তদবির এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। কেউ হয়তো লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে ভাইভার জন্য তদবির করে, ভদ্র ভাষায় যাকে অনুরোধ বা সুপারিশ বলে। কিন্তু কোন প্রক্রিয়া ছাড়া সরাসরি চাকরি দেয়ার রীতি দেশে কি চালু হয়েছে সব জায়গায়? আমার মনে হয়না। আমি কারো চাকরির জন্য এমন ধরণের সরাসরি তদবির করতে পারিনি, এটি এখন আমার বিরাট ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হচ্ছে । পছন্দ না হলেও কদাচিৎ লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে সামাজিক অবস্থান কাজে লাগিয়ে বিভিন্নজনের মাধ্যমে উপযুক্ত হলে দেখার অনুরোধ করেছি, এ প্রত্যাশায় যোগ্যতম প্রার্থী যেন বাদ না পড়ে। এখন প্রশ্ন করা হচ্ছে, লিখিত পরীক্ষা পাশ করেছে, তাও চাকরি দিতে পারলে না? সুপারিশ (recommendation) আর তদবির - এক বিষয় নয়, সেটি অনেকে মানতে নারাজ। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীদের সবার চাকরি হবেনা - এটিই প্র