আবজাদ স্যার
এ দুজন শিক্ষকের সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি (১৯৮৯-১৯৯৪)। ব্যাক্তিগত দু‘টি স্মৃতির বিষয়ে কিছু বলতে চাই। আবজাদ স্যারের (জনাব আবজাদ হোসেন চৌধুরী) প্রতি আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে আমি যখন ১৯৮৯ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যাই। স্যার তখন ভূগোল বিভাগের চেয়ারম্যান। আমরা যারা মেধাতালিকায় শেষ দিকে ছিলাম তাদের একদিনে সবাইকে ডাকা হতো। যেদিন আমাদেরকে ডাকা হল সেদিন আমরা অনেকেই চেয়ারম্যান স্যারের রুমের (এখন যেটি জাবি টিএসসি) সামনে অপেক্ষা করছিলাম । কখন আমাদের ডাক পড়বে আমরা কেউ জানি না। সেই সময় যদি কোনো ছাত্র/ছাত্রী উপস্থিত না থাকতো তাহলে তার ভর্তি হওয়ার আর কোন সুযোগ থাকত না। আমি লক্ষ্য করলাম কিছু সিনিয়র ছাত্র আমাদেরকে চা খাওয়ানোর কথা বলে ডেইরি ফার্ম গেইটে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, কেউ আবার ক্যাফেটেরিয়ায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে- কিন্তু আমরা তাদেঁর উদ্দেশ্য বুঝতে পারছিলাম না। কী ভেবে আবজাদ স্যার কক্ষ থেকে বের হয়ে আসলেন। আমাদেরকে (আমি, আর বন্ধু খোকন) চেয়ারম্যান স্যারের রুমের সাথে লাগোয়া স্টাফ রুমে বসিয়ে বললেন এখান থেকে তোমরা এক চুলও নড়বে না আমাকে না বলে। পরে অবশ্য আমরা বুঝতে পেরেছি কেন তিনি এই কথাটি বলেছিলেন। তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
আর উনার ছোট ভাই, যাকে আমরা অনেকে অধ্যাপক আমিরূল ইসলাম চৌধুরী বা এআইসি হিসেবে জানি। উনার ডাক নাম ময়না (এ নামটি কিভাবে জানলাম সেটি আরেকদিন লিখবো)। তিনি অর্থনীতি বিভাগের একজন সিনিয়র শিক্ষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে বেরিয়ে আসি তিনি তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য । আমাদের সমাপনী অনুষ্ঠানের যাবতীয় কর্মকান্ডে উপস্থিত থাকতেন। সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে জনাব গাজী শামছুর রহমান স্যারের (স্বনামধন্য বাংলাদেশী আইনবিদ ও আইন সংস্কারক) উপস্থিতিতে আমাদেরকে শপথ করিয়েছিলেন সে কথাটি এখনো আমার মনে পড়ে।
দেশ-বিদেশ মিলে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়েছে। জাবি‘র স্মৃতি খুবই মধুর ও অন্যন্য।
তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ।
নুরুজ্জামান
ভূগোল-১৮
Comments
Post a Comment