তদবিরের সংস্কৃতি
তদবিরের সংস্কৃতি
প্রায়ই এক ধরনের অনুরোধ আসে চাকরিপ্রার্থীদের অথবা তাঁদের অভিভাবকদের নিকট হতে চাকরি দেয়ার জন্য। আমি উত্তরে সবসময় বলি, কোন বিজ্ঞপ্তি হলে আপনাদেরকে জানাবো। কিন্তু তাঁদের অনেকেরই প্রত্যাশা, একটি বায়োডাটা পাঠানো হয়েছে, এখন তুমি নিয়োগপত্র পাঠাও। আমি এটিও জানি, আমাদের দেশে অনুরোধ, তদবির এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। কেউ হয়তো লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে ভাইভার জন্য তদবির করে, ভদ্র ভাষায় যাকে অনুরোধ বা সুপারিশ বলে। কিন্তু কোন প্রক্রিয়া ছাড়া সরাসরি চাকরি দেয়ার রীতি দেশে কি চালু হয়েছে সব জায়গায়? আমার মনে হয়না। আমি কারো চাকরির জন্য এমন ধরণের সরাসরি তদবির করতে পারিনি, এটি এখন আমার বিরাট ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হচ্ছে । পছন্দ না হলেও কদাচিৎ লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে সামাজিক অবস্থান কাজে লাগিয়ে বিভিন্নজনের মাধ্যমে উপযুক্ত হলে দেখার অনুরোধ করেছি, এ প্রত্যাশায় যোগ্যতম প্রার্থী যেন বাদ না পড়ে। এখন প্রশ্ন করা হচ্ছে, লিখিত পরীক্ষা পাশ করেছে, তাও চাকরি দিতে পারলে না? সুপারিশ (recommendation) আর তদবির - এক বিষয় নয়, সেটি অনেকে মানতে নারাজ। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীদের সবার চাকরি হবেনা - এটিই প্রক্রিয়া। জীবনে অনেকের নিকট অনেকভাবেই ঋণী, তাঁদের কাছ থেকে যখন এ ধরণের অনুরোধ আসে, যখন সেটি বাস্তবায়ন করতে পারিনা - তখন আমাকে বিব্রত হতে হয়, সমাজিক চাপে নিজের কাছে নিজেকে ছোট মনে হয়। এখন পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসেছে যে, বিব্রত হওয়া দূরের কথা, আমি প্রচন্ডভাবে অসহায় বোধ করছি। In this situation, I have spent my entire life as a social outcast. তুলনার চাপে দিশেহারা।
ভালো করছি, নাকি মন্দ করছি, অনেক সময় বুঝেও বুঝতে পারিনা। আমরা কি ব্যবস্থা (system) ধ্বংসের দিকে যাচ্ছি নাতো?
Comments
Post a Comment