Early Gender Socialization
আমাদের
নানী এবং আম্মা প্রায়ই বলতেন, বাচ্চাদের মন নরম কাদার মতো, যে রকম আকার করতে চাও -
তা করতে পারবে। বড় হলে মানুষের মন শক্ত হয়ে যায়। একটি জেন্ডার বিষয়ক আলোচনায় উক্ত বিষয়গুলো
আবার মনে পড়লো। আলোচনায় উঠে এসেছে, অল্প বয়সী বাচ্চাদের নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে যুক্তিসংগত মনোজগত তৈরীতে শৈশবকাল থেকে
জেন্ডার সামাজিকীকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জেন্ডার শিক্ষা আমাদের পাঠ্যক্রমের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হওয়া উচিত যা মেয়েশিশু-ছেলেশিশু; কিশোর-কিশোরী, নারী-পুরুষ উভয়ই বুঝতে পারে যে কীভাবে পুরুষতত্ব এবং নারীত্ব সমাজ প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার এবং সামাজিক ভূমিকা নির্ধারণের জন্য সমাজে যে বৈষম্যগুলো রয়েছে - যা দুর করার গুরুত্ব বুঝতে সহায়তা
করবে। উল্লেখিত বৈষম্যগুলো
দূর করা দরকার কারন এগুলো নারী- পুরুষের
জীবন ও সম্পর্ক এবং তাদেঁর জীবন-যাপনের অগ্রাধিকার
ও পছন্দকে বিশেষভাবে
প্রভাবিত করে। আমরা অনেক সময় কারনকে
গুরুত্ব না দিয়ে ফলাফলকে গুরুত্ব দিয়ে অনেক কাজ করে থাকি। নারী-পুরুষের অসমতার মূলে
রয়েছে শিশু বয়সে জেন্ডার বিষয়ে আমাদের বাচ্চাদের যুক্তিসংগত মনোজগত তৈরীতে আমাদের ব্যথর্তা।
সেটি মূলত কারণ, আর পরিনত বয়সে নারী-পুরুষের বৈষম্য মূলত আমাদের যাপিত জীবনের ফলাফল।
Comments
Post a Comment