আব্বা-আম্মা
আমাদের আব্বা-আম্মা বেঁচে নেই। আজ বাবার ২৩-তম মৃত্যুবার্ষিকী, গতকাল ছিলো মা-র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। আমাদের মা, ২ ফেব্রেুয়ারি, ২০২০ সালে ইহলোক ত্যাগ করেন। আর আমাদের বাবা, ডা. মো: ইয়াকুব আলী, না ফেরার দেশে চলে যান ৩ ফেব্রেুয়ারি, ২০০০ সালে। আজ মা-বাবা আমাদের মাঝে নেই। এ জীবনে আমাদের ডাকে তাঁরা আর কোনদিন সাঁড়া দেবেন না। তবুও বলি, আব্বা-আম্মা, আপনারা আমাদের জীবনে রয়েছেন প্রতিদিন, আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমাদের ভুলক্রটি ক্ষমা করে দিবেন। মা-বাবা বিহীন এ জীবন অতি কষ্ঠের, অব্যক্ত বেদনায় ভরা। কত স্মৃতি তাঁদের সাথে। একটু আগে টেলিভিশনে জাতীয়তাবাদের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আমার মা প্রায়ই এ বিষয়ে একটি উদাহরণ ব্যবহার করতেন। তিনি বলতেন, তার শৈশবকালে যখন ভারত বর্ ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল তখন তারা রানী ভিক্টোরিয়ার গুণগান গেয়ে স্কুল শুরু করতেন। তার যখন যৌবনকাল তখন ভারত বর্ষ দুভাগ হয়েছে, একাংশ ভারত অন্য অংশ পাকিস্তান। বর্তমান বাংলাদেশ তখন পূর্ব পাকিস্তান। তখন তিনি যেকোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজনে পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত শুনতেন। আর শেষ বয়সে বাংলাদেশ ছিল তাঁর মনে। প্রায়শ প্রশ্ন করতেন, কোন জাতীয়তাবাদের ধারক তিনি। What is the